নূন্যতম ব্যালেন্স না রাখার কারণে ব্যাংকগুলি কত টাকা জরিমানা আদায় করেছে?
ভারতের সরকারি ব্যাংকগুলি ২০১৯-২০ থেকে ২০২৩-২৪ অর্থবছর পর্যন্ত গ্রাহকদের কাছ থেকে মোট ৮,৯৩৬ কোটি টাকা জরিমানা আদায় করেছে শুধুমাত্র ন্যূনতম ব্যালেন্স না রাখার জন্য। এই তথ্য লোকসভায় মন্ত্রী কর্তৃক উত্থাপিত এবং taxconcept.net ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়েছে।
🔍 বার্ষিক জরিমানার পরিসংখ্যান (টাকা কোটিতে)
| ব্যাংক | 2019-20 | 2020-21 | 2021-22 | 2022-23 | 2023-24 |
|---|---|---|---|---|---|
| ব্যাংক অফ বরোদা | 105.17 | 118.13 | 307.49 | 333.33 | 386.51 |
| ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া | 181.52 | 121.29 | 150.08 | 180.16 | 194.48 |
| ব্যাংক অফ মহারাষ্ট্র | 49.19 | 72.03 | 108.47 | 114.15 | 126.95 |
| ক্যানারা ব্যাংক | 239.88 | 177.38 | 230.28 | 226.11 | 284.24 |
| সেন্ট্রাল ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া | 99.03 | 82.29 | 135.20 | 142.52 | 128.17 |
| ইন্ডিয়ান ব্যাংক | 141.17 | 342.86 | 316.89 | 296.27 | 369.16 |
| ইন্ডিয়ান ওভারসিজ ব্যাংক | 2.25 | 4.04 | 4.42 | 4.46 | 4.58 |
| পাঞ্জাব & সিন্ধ ব্যাংক | Nil | Nil | Nil | 15.80 | 39.44 |
| পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাংক | 238.00 | 141.03 | 85.77 | 439.67 | 633.4 |
| স্টেট ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া | 640.19 | Nil | Nil | Nil | Nil |
| ইউকো ব্যাংক | 0.09 | 0.04 | 13.37 | 15.45 | 37.49 |
| ইউনিয়ন ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া | 41.16 | 83.04 | 76.56 | 87.51 | 126.66 |
⚠️ গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
- স্টেট ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া মার্চ ২০২০ থেকে ন্যূনতম ব্যালেন্সের জরিমানা নিচ্ছে না।
- কিছু ব্যাংক চতুর্থাংশ ভিত্তিক (Quarterly Average Balance) জরিমানা আরোপ করে, আবার কিছু ব্যাংক মাসিক গড় (Monthly Average Balance) ব্যালেন্স না রাখলে জরিমানা করে।
📌 FY 2023-24 সালে শীর্ষ ৩ জরিমানা আদায়কারী ব্যাংক
- পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাংক – ₹৬৩৩.৪ কোটি
- ইন্ডিয়ান ব্যাংক – ₹৩৬৯.১৬ কোটি
- ব্যাংক অফ বরোদা – ₹৩৮৬.৫১ কোটি
🗣️ সাধারণ মানুষের প্রশ্ন: এটি কি ন্যায়সঙ্গত?
ন্যূনতম ব্যালেন্স রাখার নিয়ম অনেকের জন্য বোঝা হয়ে দাঁড়াচ্ছে, বিশেষত নিম্ন আয়ের গ্রাহকদের জন্য। আর্থিক সচেতনতা বৃদ্ধি করা উচিত হলেও, জরিমানার বদলে সচেতনতা বাড়ানোর উদ্যোগ জরুরি।
🔚 উপসংহার
এই বিশাল অঙ্কের জরিমানার বিষয়টি দেখায়, কীভাবে ব্যাংকগুলি গ্রাহকদের কাছ থেকে নানাভাবে রাজস্ব সংগ্রহ করছে। এই পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষের সচেতন হওয়া অত্যন্ত জরুরি। সরকার ও ব্যাংক কর্তৃপক্ষের উচিত ন্যূনতম ব্যালেন্স রাখার শর্ত আরও নমনীয় করা ও বিশেষ শ্রেণীর গ্রাহকদের রেহাই দেওয়া।
আপনার মতামত জানাতে ভুলবেন না — আপনি কি মনে করেন এই ধরনের জরিমানা প্রক্রিয়া ন্যায্য? নাকি এটি শুধুই চাপের একটা মাধ্যম?

