নতুন দিল্লি, ১ নভেম্বর: সাম্প্রতিক বেশ কিছু রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে যে কয়েক মাসের মধ্যেই অষ্টম পে কমিশন গঠিত হতে পারে। ২০১৪ সালে সপ্তম পে কমিশন গঠিত হয়েছিল এবং এর পর প্রায় ১০ বছর অতিক্রান্ত হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে, নতুন পে কমিশনের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। সাম্প্রতিক রিপোর্ট অনুযায়ী, নভেম্বর মাসেই অষ্টম পে কমিশন নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে।
রিপোর্টে বলা হয়েছে যে অষ্টম পে কমিশন নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আগামী মাসেই নেওয়া হবে। নভেম্বরে অনুষ্ঠিত হবে 'জয়েন্ট কনসাল্টেটিভ মেশিনারি' বৈঠক, যেখানে কেন্দ্রীয় কর্মী এবং সরকারের প্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকবেন। বৈঠকে যদি ঐকমত্য হয়, তবে আগামী বছরের বাজেটেই অষ্টম বেতন কমিশন গঠন করা হতে পারে।
উল্লেখ্য, সপ্তম কেন্দ্রীয় বেতন কমিশনের সুপারিশগুলি সরকার ২০১৬ সালের ১ জানুয়ারি থেকে কার্যকর করেছিল। সেই সময় আন্তর্জাতিক শ্রম কমিশনের বিধি এবং ডঃ এইক্রয়ডের ফর্মুলার ভিত্তিতে ২৬ হাজার টাকা মাসিক ন্যূনতম বেতনের প্রস্তাব করা হয়েছিল। কিন্তু সরকার সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে মাসিক ন্যূনতম বেতন ১৮ হাজার টাকা নির্ধারণ করেছিল।
দেশে প্রথম বেতন/পে কমিশন গঠিত হয় ১৯৪৬ সালে। এরপর তৃতীয়, চতুর্থ, এবং পঞ্চম বেতন কমিশনগুলোতে বলা হয়েছিল যে, বেতন বৃদ্ধি স্থায়ীভাবে হওয়া উচিত। সপ্তম বেতন কমিশনে সুপারিশ করা হয়েছিল যে, বেতন বৃদ্ধির জন্য ১০ বছর অপেক্ষা করার প্রয়োজন নেই। কর্মী-সংগঠনগুলো দাবি করছে যে, অষ্টম বেতন কমিশনে বেসিক পে ১৮ হাজার থেকে বেড়ে ৩৪ হাজার ৫৬০ টাকা হতে পারে, যা প্রায় দ্বিগুণ বৃদ্ধি। সেই সঙ্গে মহার্ঘ ভাতা, ট্রাভেল অ্যালাওয়েন্স, হাউজ রেন্ট অ্যালাওয়েন্স সহ অন্যান্য বিভিন্ন ভাতাও বাড়বে।
উল্লেখ্য যে সম্প্রতি কেন্দ্রীয় কর্মীদের ডিএ ৩ শতাংশ বাড়ানোর ঘোষণা করা হয়েছে।
#PayCommission #8thPayCommission #CentralGovernment #SalaryHike #DAIncrease #GovernmentEmployees #JCM