বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, যিনি দীর্ঘদিন ধরে ক্ষমতায় ছিলেন, রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে পদত্যাগ করে ভারতের উদ্দেশ্যে পালিয়ে গেছেন। কয়েক সপ্তাহ ধরে চলা ছাত্র আন্দোলন ও বিরোধী দলগুলির বিক্ষোভের কারণে তাঁর সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র বিরোধিতা শুরু হয়, যা শেষ পর্যন্ত সহিংস প্রতিবাদে রূপ নেয় এবং তাঁকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করে।
শেখ হাসিনার এই আকস্মিক পদত্যাগ ও ভারত গমন দেশজুড়ে বিস্ময়ের সৃষ্টি করেছে। তাঁর শাসনামলে নানা বিতর্কিত সিদ্ধান্ত ও অভিযোগ ওঠে, যেমন দুর্নীতি, ভোট জালিয়াতি, এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতার ওপর দমনমূলক পদক্ষেপ। এই কারণে দেশজুড়ে বিশাল প্রতিবাদ আন্দোলন শুরু হয় যা ক্রমশ বৃহত্তর আন্দোলনে পরিণত হয়।
পদত্যাগের পরদিন, বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি সংসদ ভেঙে দিয়ে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের ঘোষণা দেন। এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আগামী নির্বাচনের তত্ত্বাবধান করবে, যেখানে আরও স্বচ্ছ এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার দাবি তোলা হয়েছে। একইসাথে, শেখ হাসিনার দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ খালেদা জিয়াকে গৃহবন্দী থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।
এই বিশৃঙ্খল অবস্থার মধ্যে নিজের নিরাপত্তার আশঙ্কায় শেখ হাসিনা ভারতের উদ্দেশ্যে পালিয়ে যান। যদিও তিনি প্রথমে যুক্তরাজ্যে আশ্রয়ের চিন্তা করেছিলেন, কূটনৈতিক আলোচনার কারণে তা ব্যর্থ হয়।
বর্তমানে, শেখ হাসিনা ভারতের মাটিতে অবস্থান করছেন এবং বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে তাঁর ভবিষ্যৎ কী হবে তা নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়ে গেছে। তাঁর এই গমন বাংলাদেশের রাজনৈতিক দৃশ্যপটে একটি বড় পরিবর্তন এনে দিয়েছে, যা আগামী নির্বাচনের আগে দেশটির স্থিতিশীলতার ওপর প্রশ্ন তুলেছে।